খুলনা জেলায় করোনাসংক্রমন বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জেলাব্যাপী এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকাল পাঁচটা পর কোন দোকান, শপিংলমল, রেস্তোরা ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে না। সকল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রযোজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হয়ে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক এবং অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ঔষধের দোকান এই বিধিনিষেধ আওতামুক্ত থাকবে।

খুলনার জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আজ (শুক্রবার) তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। সভায় সিটি মেয়র বলেন, গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোন ভাল ফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তাবায়ন করতে না পারলে খুলনার করোনা সংক্রমণের উর্দ্ধগতি ঠেকানো যাবে না। তিনি রাস্তাঘাটে অযথা জটলা করে আড্ডা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি আহবান জানান।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় খুলনা করোনা রোগীর চিকিৎসার শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে। সে ক্ষেত্রে সদর হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভায় জাননো হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে সেখানে প্রতিদিন পাঁচশত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। সভায় আরও জানানো হয় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাতদিনে দুইশত ২৩টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে তিন লাখ ৬২ হাজার পাঁচশত পয়তাল্লিশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এধরণের মোবাইলকোর্ট পরিচলনা অব্যাহত থাকবে। সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।